সাজ্জাদ আলম খান সজল: পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে এবং জীবনে সাফল্য লাভের আশায় সৌদি আরবে কাজের সন্ধানে গিয়ে আড়াই মাসের মাথায় লাশ হলেন নড়াইল সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের কেরামত শেখের যুবক ছেলে নাজিবুল্লাহ (২২)।
নাজিবুল্লাহকে বিদেশ পাঠাতে তিন দফায় দালাল চক্রের হাতে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন পিতা কেরামত শেখ।
ঘটনা উল্লেখ করে এক নারীসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে নড়াইল সদর আমলী আদালতে গত ১২ জুন অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলার মিরাপাড়া গ্রামের জলিল মিনার ছেলে শাহাবুদ্দিন মিনা বাদী কেরামত শেখের স্ত্রীর ফুফাতো ভাই হওয়ার সুবাদে তিনি ছেলে নাজিবুল্লাহকে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে সৌদি আরবে
পাঠানোর মৌখিক চুক্তি করেন। শাহাবুদ্দিন মিনার ভগ্নিপতি নড়াইল সদর উপজেলার চাঁচড়া গ্রামের সাইফুল আব্দার সৌদি আরবে কর্মরত।
কেরামত শেখ ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর লক্ষ্যে গত ২৫ ফেব্রæয়ারি সাইফুল আব্দারের স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও সাইফুলের শ্যালক (রাবেয়ার চাচাতো ভাই) আমিনুর মিনার কাছে প্রথম দফায় ৩ লাখ টাকা প্রদান করেন।
গত ১মার্চ আর রাবেয়া ও আমিনুরের কাছে আরো ৩লাখ টাকা প্রদান করেন কেরামত শেখ। মোট ৬ লাখ টাকা প্রদানের পর গত ১৭ মার্চ নাজিবুল্লাহ সৌদি আরবে পৌঁছান। পরবর্তীতে নাজিবুল্লাহর কাগজপত্র (আকামা) ঠিক করে দেয়ার কথা বলে এবং সৌদি পুলিশের ভয় দেখিয়ে কেরামত শেখের কাছে আরো দেড় লাখ টাকা দাবি করেন শাহাবুদ্দিন মিনা।
গরু বিক্রি করে ও ধার-দেনা করে দাবিকৃত দেড়লাখ টাকা প্রদান করেন কেরামত শেখ। গত ৪ জুন বাদী কেরামত
শেখ সৌদি আরবে অবস্থানরত অন্যলোকের মাধ্যমে জানতে পারেন তার পুত্র
নাজিবুল্লাহকে আটক রেখে মুক্তিপণ আদায় করেছে এবং ছেলের মৃতদেহ সৌদি আরবের হাসপাতাল মর্গে পড়ে আছে। বিষয়টি নিয়ে শুনানী শেষে এজাহার আকারে লিপিবদ্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।